html

Saturday 28 July 2018

কালীপদ চক্রবর্ত্তী

দিল্লির নাটক

                                                                                                                                   

কালীপদ চক্রবর্ত্তী



নাটক নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আমরা দেখব যে নাটক আমাদের দেশে নতুন নয়। অনুমান করা হয় যে প্রায় দু’হাজার বছর আগে থেকেই নাটকের অস্তিত্ব ভারতবর্ষে আছে। অর্থাৎ এক কথায় বলা যায় যে নাটক আমাদের কাছে নতুন জিনিষ নয়। অন্যান্য শিল্পের মত নাটক ও একটি শিল্প। তবে নাটককে মিশ্র শিল্প বলা যেতে পারে। কারণ নাট্যকার, অভিনেতা, প্রেক্ষাগার ও মঞ্চ কর্মী এবং দর্শকরা মিলিত হলে তবেই নাটকের সার্থকতা। তাই নাটককে Mixed Art বলা হয়।

বাঙালিদের মধ্যে নাটকের ইতিহাস বেশ পুরাতন। আমাদের সাহিত্যে, গানে, কবিতায় ও সংস্কৃতিতে যেমন আমাদের ভাবের প্রকাশ প্রায়, ঠিক তেমনি নাটকের মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনের প্রকাশ দেখতে পাই। নাটককে আমাদের জীবনের দর্পণ বললেও ভুল হবে না। রক্তের মধ্যে আমাদের নাটক মিশে আছে।

তবে ইতিহাস ঘাঁটলে দেখতে পাব, ভারতবর্ষের অতীত বা শুরুর দিনগুলোতে নাটক এখনকার মত নাট্যমঞ্চের উপযোগী ছিল না। তখনকার নাটকগুলি সামিয়ানার নীচে বা মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হত। প্রাচীন ভারতে সংস্কৃত নাট্য সাহিত্যের ও খুব প্রচার এবং প্রসার হয়। পরে ঝুমুর প্রভৃতির মধ্যে দিয়ে লোকা-ভিনয় ও সংস্কৃত নাটকের প্রভাবে নৃত্যগীতে ভরপুর যাত্রাভিনয় খুব ছড়িয়ে পরে। মুসলিম শাসন আমলে সারা ভারতবর্ষেই নাট্যকলার বিকাশ থেমে যায়। সেই সময় লোকা-ভিনয় করেই এই কলা বেঁচে ছিল। কলকাতায় বাংলা নাটকের সূচনা হয় উনবিংশ শতকের গোঁড়ার দিকে। কলকাতায় ইংরেজদের প্রথম রঙ্গালয়ের নাম ছিল ‘প্লে হাউস’।

এবার দিল্লির নাটকের কথায় আসি। বর্তমানে সময়ের সঙ্গে তাল রেখে নাটকের রূপ অনেক বদলেছে। সেই সাথে সাথে দিল্লিতেও তার ছোঁওয়া এসে লেগেছে। আগে দিল্লিতে ঐতিহাসিক নাটক এবং যাত্রা পালাই বেশী হত। ঐতিহাসিক নাটক চলে গিয়ে এলো সামাজিক নাটক, তবে ঐতিহাসিক নাটক একেবারে মুছে যায়নি। এখনো মাঝে মাঝে দিল্লির পূজা উপলক্ষে অভিনীত হতে দেখা যায়। যদিও সংখ্যায় এখন অনেক কমে গেছে। আগে ছিল পূর্ণাঙ্গ নাটক, এখন একাঙ্ক নাটকের সর্বত্র ছড়াছড়ি। দিল্লিতে নাটক কবে শুরু হল তার সঠিক লেখাজোকা আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে যতটুকু জেনেছি তাতে দেখা যায়, দিল্লিতে নাটক বহু আগে থেকেই যে হত তাতে কোন সন্দেহ নেই। পঞ্চাশের দশকের আগের দিল্লির নাটকের ইতিহাস বা বিবরণ আমার সঠিক জানা নেই। দিল্লিতে দুর্গাপূজা, রবীন্দ্র জয়ন্তী, বিভিন্ন পূজা পার্বণ ইত্যাদির মাধ্যমেই নাটকের সূত্রপাত হয়। দিল্লিতে এক সময় ছিল যখন দুর্গাপূজাতে নাটক হবে না এরকম ভাবাই যেত না। সারারাত ধরে চলতো নাটক। আজকাল অবশ্য এর ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে। এর পেছনে বিভিন্ন কারণ আছে। একসময় আমি কলকাতায় নিয়মিত নাটক করেছি, তাই আমার অভিজ্ঞতায় বলে যে, কলকাতার সঙ্গে দিল্লির নাটকের পার্থক্য হল, কলকাতায় বাংলা নাটকের দর্শক পাওয়া খুব কঠিন ব্যাপার নয়, যেহেতু বাঙালির সংখ্যা প্রচুর কিন্তু দিল্লিতে আজকাল নাট্যগোষ্ঠীগুলি চেষ্টা করেও দর্শক জোগাড় করতে পারেনা। এর দু-একটি কারণ হল: ১। দিল্লিতে কলকাতার তুলনায় বাঙালিদের সংখ্যা খুবই কম। ২। দিল্লির একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে গিয়ে রাতে নাটক দেখে ফিরে আসা প্রায়ই দুঃসাধ্য ব্যাপার, বিশেষ করে যদি নিজস্ব বাহন না হয়। ৩। একটি শো করতে অর্থ ব্যয় ও হয় প্রচুর। ৪। নাটকের খবর সব বাঙালিদের কাছে পৌঁছে দেওয়া ও খুব সোজা কথা নয়। ৫। দিল্লিতে নাট্যামোদী বা গুণীজনের অভাব নেই, তবে যেটি লক্ষ্য করা যায় তা হল বেশীর ভাগ লোকেরই সময়ের অভাব। ৬। কলকাতার নাট্যগোষ্ঠীগুলো একটি নাটক অনেক রজনী করতে পারেন কারণ দর্শক মোটামুটি পাওয়া যায় কিন্তু দিল্লিতে বাঙালির সংখ্যা কম হওয়াতে বেশী শো হয় না। ৭। দিল্লির পরবর্তী বাঙালি প্রজন্ম যেহেতু বাংলা স্কুলগুলিতে শিক্ষা পাচ্ছে না তাই তাদের বাংলা নাটকের সম্পর্কে সেই অন্তরঙ্গতাও একটু কমে যাচ্ছে বলে মনে হয়। তবে এটা শুধু নাটকের ক্ষেত্রেই নয় বাংলা সাহিত্যের ক্ষেত্রেও এটি একটি অপ্রিয় সত্যি কথা। তবে ইদানীং দিল্লিতে সাহিত্যচর্চ্চার যে জোয়ার এসেছে তা সত্যিই খুব আশাব্যঞ্জক এবং আনন্দের । বর্তমানে দিল্লি-থেকে বহু পত্র-পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে এবং প্রায় সবগুলিই খুব উন্নত মানের।

দিল্লিতে অসংখ্য নাটকের দল আছে এবং তাদের মধ্যে আছেন ভাল ভাল কলা কুশলী শিল্পীরা। দিল্লির নাটক ও যাত্রা জগতে ফণী রায় ও সুবিমল ব্যানার্জ্জীর নাম ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকবে। এছাড়াও অতীত ও বর্তমানের অসংখ্য নাট্য ব্যক্তিত্ব আছেন যারা নাট্যচর্চার সাথে জড়িত, তাদের সকলের নাম এই ছোট লেখায় উল্লেখ করা সম্ভব নয়। তবে বর্তমানের দু-একজনের নাম উল্লেখ না করলে অন্যায় হবে। কিছুদিন আগে পর্যন্ত দিল্লির রঙ্গমঞ্চে অভিনয় করে জয়ন্ত দাস যে ছাপ রেখে গেছেন তা আজও দিল্লির বাঙালি ভুলতে পারেনি। বর্তমানে দিল্লির নাট্যকার ও পরিচালক হিসেবে অঞ্জন কাঞ্জি-লাল, তরিৎ মিত্র-ও সুমনা কাঞ্জি-লাল ইত্যাদিরা খুব সুখ্যাতি অর্জন করেছেন। এছাড়াও শুদ্ধসত্ত্ব ব্যানার্জ্জী-র মত আরও অনেকে আছেন যারা নীরবে তাদের কাজ করে চলেছেন। তবে শুনলাম বর্তমান-এ শুদ্ধসত্ত্ববাবু কলকাতার রঙ্গমঞ্চে এবং বাংলা টি ভি সিরিয়াল-এ নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। এই স্বল্প পরিসরে সকলের নাম উল্লেখ করতে না পারার জন্য দুঃখিত। বাকী নাট্যকর্মী ও নাট্যমোদীর সংখ্যাও যে কম নয় তা অনায়াসেই বলতে পারি। দিল্লিতে নাটক ও যাত্রা জগতের কথা বলতে গেলে যাদের কথা না বললে অসম্পূর্ণ থেকে যাবে তারা হলেন – হরিহর ভট্টাচার্য, জগদীশ চক্রবর্তী (বর্তমান বাংলা চলচ্চিত্র অভিনেতা, সব্যসাচী চক্রবর্তীর পিতা), উৎপল মুখার্জী, ফনি রায়, সুবিমল ব্যানার্জ্জী, অশোক দাশগুপ্ত, অমর হোড়, পরেশ দাশ, রবীণ ভট্টাচার্য, প্রতাপ সেন, পুতুল নাগ, গঙ্গা গুহ, মিলন সরকার ইত্যাদি। অভিনেত্রীদের মধ্যে মায়া হোড়, উমা বিট, সুশীলা গাঙ্গুলী ইত্যাদির নাম উল্লেখ যোগ্য। নাটক জগতে আলোকসম্পাতের জন্য যে তাপস সেন আজও বিখ্যাত হয়ে আছেন, তিনিও জীবনের প্রথমে দিল্লিতে আলোকসম্পাত করেই শুরু করেছিলেন। মঞ্চ সজ্জায় অজিত দত্ত-র নাম লোকে আজও ভোলেনি। তিনিই প্রথম দিল্লিতে কল্লোল নাটকের মঞ্চ তৈরি করে হৈ,চৈ ফেলে দিয়েছিলেন। আবহসঙ্গীতের জন্য নাড়ুদার নাম আজও লোকে মনে রেখেছে। এছাড়াও বহু নাট্যামোদী আছেন যাদের নাম এই সল্পপরিসরে লেখা সম্ভব নয়।

দিল্লিতে এমন একটা সময় ছিল যখন দিল্লির বাঙালিরা পূজার সময় যাত্রা, নাটক দেখার জন্য উৎসুক হয়ে থাকতো। দিল্লিতে এখনও যাত্রা নাটক হয় বটে তবে কোথাও যেন দর্শকদের উৎসাহে ভাঁটা পড়েছে। সত্তরের দশকে আমি দেখেছি দিল্লিতে নাটক ও যাত্রার জোয়ার আসতে। নাটক, যাত্রা যে শুধু প্রযোজনা নয়, তার থেকেও আরও অনেক বেশি কিছু তা তখন দেখা গেছে দিল্লির নাটক এবং যাত্রায়। এই জোয়ার চলেছিল ৮০ দশকের গোঁড়া অব্ধি। এই সময় পোশাক, আলো ও আবহ সঙ্গীতের দল কলকাতা থেকে নিয়ে আসা শুরু হয় এবং তারফলে দর্শকদের মধ্যে উৎসাহও খুব বেড়ে গিয়েছিল।

দিল্লিতে আগে কলকাতার থেকে নাটক ও যাত্রা দল ভাড়া করে আনা হত। এখনও হয় তবে সংখ্যা অনেক কমে গেছে। তখনকার মত আজও চাঁদনিচকের কিনারি বাজারের দোকানগুলো নাটক ও যাত্রার জিনিষপত্র সরবরাহ করে চলেছে। ১৯৬১ সালের ১লা জুন দিল্লিতে বিখ্যাত দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে “শ্রীমতী অপেরা”। শুনেছি এদের দলে কোন শ্রীমতী (মহিলা) না থাকাতে পুরুষেরাই মহিলাদের অভিনয় করতেন এবং তার ফলেই তাঁরা দলের এই রূপ নামকরণ করেন। অবশ্য ভারতবর্ষের নাটকের ইতিহাস দেখলে আমরা দেখতে পাই যে গেরাসিম স্তেপানোভিচ লিয়েবেদেফ তাঁর বেঙ্গলি থিয়েটারে ১৭৯৫ সালেই প্রথম মহিলা শিল্পীদের সাথে নিয়ে ‘কাল্পনিক সংবদল’ নাটকটি মঞ্চস্থ করেন। বাংলার থিয়েটারে মহিলা শিল্পীদের অংশগ্রহণ সেইবারেই প্রথম হয়েছিল এবং তারজন্য তাঁকে গভর্নর জন শোরের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়েছিল। তার আগে পুরুষেরাই মহিলার ভূমিকায় অভিনয় করতেন। এর পরে থিয়েটারে দ্বিতীয় বার আবার নারীদের আগমন হয়েছিল ৪০ বছর পরে ১৮৩৫ খ্রিষ্টাব্দে নবীনচন্দ্র বসুর থিয়েটারে বিদ্যাসুন্দর নাটকে।

দিল্লিতে বর্তমানে সেই পুরানো দিনগুলি ফিরিয়ে আনা যাবে কিনা জানিনা। তবে ইদানীং আবার বাঙালিদের মধ্যে নাটক নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। সমগ্র দিল্লি জুড়ে আবার নাটক মঞ্চস্থ করা শুরু হয়েছে। দিল্লির বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশন, নিউদিল্লি কালীবাড়ি এবং চিত্তরঞ্জন পার্কের বিভিন্ন দল এবং সংস্থাগুলো আবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাই নাটক পরিবেশন চলছে হৈ, হৈ করে,  যদিও দর্শকদের সংখ্যা সেইহারে খুব একটা বাড়েনি, তবে আশা করা যায় সেই সংখ্যাও ক্রমশ: বাড়বে। পৃথিবীতে অনেককিছু বদলালেও দিল্লিতে কিন্তু মানুষের সৃজনশীলতা কমে যায়নি। তাই আজও বর্হিবঙ্গের মধ্যে দিল্লি সাহিত্যে, সংস্কৃতিতে বিভিন্ন প্রতিকূলতার সাথে তাল রেখে এগিয়ে চলেছে। আমার মনে হয় যে পরি-কাঠামো নিয়ে সঠিক ভাবে চিন্তা ভাবনা করলে এবং গুণী ব্যক্তিদের নিয়ে সঠিক পরিকল্পনা মত এগিয়ে গেলে আবার যাত্রা ও নাটকের সেই সুদিনকে ফিরেয়ে আনা সম্ভব হবে। একবার P.L.T.-র সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে শুনেছিলাম যে নাটক করার জন্য নাটক জানা লোকের থেকে নাটক পাগল লোকের বেশী প্রয়োজন। তখন বয়স কম ছিল তাই তার অর্থ ঠিক বোধগম্য হয়নি। কিন্তু আজ তার অর্থ আমার কাছে খুব স্পষ্ট।

দিল্লিতে অসংখ্য নাটকের দল আছে এবং তাদের মধ্যে আছেন ভাল ভাল কলা কুশলী শিল্পীরা।  দিল্লির নাটক ও যাত্রা জগতে ফণী রায় ও সুবিমল ব্যানার্জ্জীর নাম ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকবে। এছাড়াও অতীত ও বর্তমানের অসংখ্য নাট্য ব্যক্তিত্ব আছেন যারা নাট্যচর্চার সাথে জড়িত, তাদের সকলের নাম এই ছোট লেখায় উল্লেখ করা সম্ভব নয়।  কিছুদিন আগে পর্যন্ত দিল্লির রঙ্গমঞ্চে অভিনয় করে জয়ন্ত দাস যে ছাপ রেখে গেছেন তা আজও দিল্লির বাঙালি ভুলতে পারেনি। বর্তমানে দিল্লিতে অনেকগুলো নাটকের দল আছে। তার মধ্যে ১৫ টি নাটকের দল রীতিমত সক্রিয়। এই ১৫টি নাটকের দলগুলো হল - ১) সংশপ্তক (তরিৎ মিত্র), ২) গ্রিনরুম থিয়েটার (অঞ্জন কাঞ্জিলাল), ৩) আমরা কজন (রবিশঙ্কর কর), ৪) আকৃতি (ভক্তি দাস), ৫) স্বপ্ন এখন (শমিক রায়), ৬) থিয়েটার প্লাটফর্ম (পূর্ণেন্দু ভট্টাচার্য), ৭) চেনা মুখ (তরুণ দাস), ৮) বিকল্প (বাদল রায়), ৯) ধূমকেতু (সিদ্ধার্থ দাসগুপ্ত), ১০) ব্যাকড্রপ থিয়েটার (দীপক গুহ), ১১) সৃজনী (অভিজিৎ ব্যানার্জী), ১২) পিপলস থিয়েটার (নিলয় রায়), ১৩) নবপল্লী (বিশ্বজিৎ সিনহা), ১৪) করোল বাগ বঙ্গীয় সংসদ (অতনু সরকার)। ১৫) চিত্তরঞ্জন পার্ক বঙ্গীয় সমাজ   (গোপা বসু)। এছাড়াও বেশকিছু নাটকের দল আছে যাদের নাম এই স্বল্প পরিসরে উল্লেখ করা হলনা।

নাটক নিয়ে আলোচনা শেষ করার আগে বলতে চাই,  মনে রাখতে হবে নাটক আমাদের সমাজের দর্পণ। মানুষের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। সেখানেই নাটকের সার্থকতা।

লেখা শেষ করার আগে বলতে চাই যে নাটক করার ক্ষেত্রে নাটককে যেমন ভালবাসতে হবে ঠিক তেমনি নিময়নুবর্তিতাও অনুসরণ করতে হবে। নাটক পাগল হওয়ার সাথে সাথে তাকে সব নিয়ম কানুনও মানতে হবে। নাটক নিয়ে ভাবতে হবে। মনে রাখতে হবে নাটক আমাদের সমাজের দর্পণ। মানুষের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। সেখানেই নাটকের সার্থকতা।

1 comment:

  1. Lekhata bhalo hoyechhe. Kintu Chittaranjan Bhavan e aajkal purno prekshagrihe bohu natak paribesita hochhe. Bikalpa r August utasab o khub safal. Parichalak Piyali Dasgupta khub bhalo kaaj korchhen.

    ReplyDelete

Facebook Comments